শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সেলাইয়ের কাজ শেখানোর কথা বলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এক দর্জিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই দর্জির নাম আব্দুস সামাদ (৫৫)।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটের সামাদের টেইলার্সের দোকানে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা রশিদ মিয়া বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার বিকালে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত শুনানি শেষে সামাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত বাহের মাহমুদের ছেলে। সামাদ শ্রীবরদীর জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটে দর্জি ব্যবসার সাথে জড়িত।
ভিকটিম জানায়, পার্শ্ববর্তী জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটে দর্জি আব্দুস সামাদের দোকানে সে নিয়মিত জামা কাপড় তৈরি করতো। এ সুবাদে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক সখ্যতা হয়। শনিবার দুপুরে সেলাইয়ের কাজ শেখানোর কথা বলে সামাদ তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। পরে নানা প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ওসি তদন্ত আবুল হাশিম জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা জেলা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। সেইসাথে আদালত আব্দুস সামাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply